অষ্টমঙ্গলায় বাবার বাড়ি এসে আত্মহত‍্যা করলো নববধূ

3rd August 2020 5:28 pm বাঁকুড়া
অষ্টমঙ্গলায় বাবার বাড়ি এসে আত্মহত‍্যা করলো নববধূ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  অষ্টমঙ্গলায় বাপের বাড়ি এসে আত্মহত্যা করলো নববধূ। মৃতার নাম বৈশাখী হালদার (২৩) বাঁকুড়ার সিমলাপালের মণ্ডলগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রনিয়াড়া গ্রামের ঘটনা।
  
   স্থানীয় সূত্রে খবর, মাত্র সাত দিন আগে সিমলাপালের রনিয়াড়া গ্রামের বৈশাখী হালদারের সঙ্গে ঐ থানা এলাকারই দুবরাজপুর গ্রামের বিদ্যুৎ খাঁ এর বিয়ে হয়। রবিবার অষ্টমঙ্গলা পালনের জন্য তারা রনিয়াড়া গ্রামের বাড়িতে আসেন। সোমবার সকালে বাড়ির মধ্যেই নববধূ বৈশাখীর ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। পরিবারের তরফে তড়িঘড়ি সিমলাপাল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর দেওয়া হয় সিমলাপাল থানায়। খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছায় পুলিশ।

   মৃতা বৈশাখী হালদারের স্বামী বিদ্যুৎ খাঁ বলেন, রবিবার অষ্টম মঙ্গলা করতে দু'জনে শ্বশুর বাড়িতে এসেছি। এদিন সকাল পর্যন্ত সব ঠিক ঠাক ছিল। প্রাতঃকৃত্য থেকে ফিরে এসে এই ঘটনা শুনছি। আত্মহত্যার মতো গুরুতর ঘটনা কি করে ঘটলো তিনি কিছুই বুঝে উঠতে পারছেননা বলে জানান।

   পুলিশের পক্ষ থেকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে ঘটনার তদন্ত ও মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মালনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

  





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।